স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি প্রাচীণ ভবনের চারটি ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষের মধ্যে চলছে শিশু শ্রেণী ও তৃতীয় শেণীর পাঠদান। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ও শিক্ষকদের অফিস রুমও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ১৯৩১ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী স্কুলটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় তিনশত আট জন। গত ২০০৪/০৫ সালে দুই কক্ষের একটি নতুন ভবন নির্মিত হলেও ১৯৮৪ সালে আধাপাকা টিনের চাউনি দেওয়া ভবনটি জনাকীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গত দুই বছর যাবত ভবনটি পেছনের সাইটের একটি পুকুরের পাড় ভেঙ্গে আধাপাকা ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনের ভিতরে পানি ডুকে যায়।
স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তারা সবসময় পুকুরের ভবনটি বিলীন হবার ভয়ে ভয়ে ক্লাস করে বলে জানান।
হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ছাদেকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর শ্রেণি কক্ষের সংকট, শিক্ষকদের বসার জায়গা সংকট, প্রধান শিক্ষকের রুমের সংকট রয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের পক্ষ থেকে ঝুকিপূর্ণ ভবনের রুম গুলো ব্যবহার না করার নির্দেশ প্রদান করা হলেও বাধ্য হয়ে চারটি রুমের মধ্যে তিনটি রুম ব্যবহার করতে হচ্ছে। আরেকটি রুম সম্পূর্ণ ব্যবহারের অনুপযোগী। আর এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিস ও পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছি।”তবে যত দ্রুত সম্ভব এখানে নতুন ভবন তৈরি করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহনেওয়াজ পারভীন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি আমরা অবগত হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নতুন ভবনের জন্য অনুরোধ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply